শাহারুখ আহমেদঃ নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রশাসনের নাকের ডগায় চলছে দূর্নীতি ও দালালির হিড়িক। রয়েছে অসংখ্য অভিযোগ – কখনো সরকারি ঔষধ রোগীদের নিকট না পৌছানো, কখনো নিম্ন মানের ঔষধ দিয়ে চিকিৎসা, কখনো ওয়ার্ডে অপরিচ্ছন্ন বেডে রোগীদের শোয়ানো হচ্ছে অন্যদিকে ওয়ার্ডের টয়লেটের বিষয়ে না ই বা লিখলাম, কখনো সরকারি এ্যাম্বুলেন্স মোটা টাকায় ভাড়া দেওয়া হচ্ছে, অথবা কখনো ভালো এ্যাম্বুলেন্সের চাকা খুলে বলা হচ্ছে এ্যাম্বুলেন্স নষ্ট। অন্যদিকে বিভিন্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ঔষধ বিক্রেতাদের দালালদের খপ্পরে পরে সাধারণ মানুষের ব্যয় হচ্ছে প্রচুর অর্থ। গোপন সূত্রে জানাগেছে এর পিছনেও রয়েছে অত্র প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের অর্থ মাখা হাত। তাছাড়া প্রতিষ্ঠানের ডাক্তারগনের বিরুদ্ধেও রয়েছে অভিযোগ। তাদের নিকট রোগী গেলেই পরামর্শ দেয়া হয় প্রাঃ হাসপাতালে ব্যাক্তিগত চেম্বারে গিয়ে সুচিকিৎসা নেয়ার জন্য তাছাড়া অযথা বিভিন্ন পরীক্ষা নিরিক্ষার হয়রানিতো আছেই।
এমনই একজন ভুক্তভোগী দৈনিক আলোর জগত পত্রিকার সোনারগাঁ প্রতিনিধি ফাহাদুল ইসলাম শরীফের(৩৩) বক্তব্যে জানা গেছে, তার সন্তানের চিকিৎসার উদ্দেশ্যে নিয়ে গেলে হতে হয় চরম লাঞ্ছনার শিকার। ঘটনাস্থল ধারণকৃত ভিডিও চিত্র থেকে জানা যায়, সাংবাদিক ফাহাদ তার সন্তান কে নিয়ে জরুরী চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জরুরী বিভাগে গেলে বলা হয় ডাক্তার নাই, যার কারনে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রধান কর্মকর্তা পলাশ কুমার শাহাকে অবগত করলে অবস্থানরত কর্মকর্তারা তার দিকে রাগান্বিত হয়ে তেরে যায়, এবং মুঠোফোনে ভিডিও চিত্র ধারণ করার জন্য ক্ষিপ্ত হয়।
এক পর্যায়ে প্রধান কর্মকর্তার রুমে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে অফিস সহকারী প্রধান নজরুল ইসলাম মোবাইলে ধারণকৃত চিত্র ডিলেট করার জন্য বল প্রয়োগ এবং অশালীন আচরণ করে। এহেন অবস্থায় তাকে বাধ্য করা হয় মোবাইলে ধারণকৃত ভিডিও চিত্র মুছে ফেলতে।
নজরুল ইসলাম সম্পর্কে আরো জানা গেছে, তিনি যে কোনো সাধারণ মানুষের সাথেই এমন আচরণ করেন। এলাকার স্থানীয় হিসেবে সর্বদা প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করেন। একজন সাধারণ কর্মচারী হয়েও তিনি একটি প্রায়ভেট হাসপাতালের মালিক হলেন কিভাবে, এ প্রশ্ন সকলের। তাছাড়া রয়েছে তার বিরুদ্ধে আরো নানান দূর্নীতির অভিযোগ।
সাথে থাকা সন্তানের সম্মুখেই বাবাকে করা হয় অপমানিত। এই লজ্জা জনক ঘটনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান কর্মকর্তার পলাশ কুমার শাহার সামনে ঘটায় তিনি সাংবাদিক সমাজে প্রশ্নবিদ্ধ। এ বিষয়ে সোনারগাঁ থানায় একটি অভিযোগ দায়েরের পর সোনারগাঁ থানা অফিসার ইনচার্জ হাফিজুর রহমান বলেন, সোনারগাঁ সহ দেশের প্রায় সব জায়গায় স্বাস্থ্য বিভাগে চলছে দূর্নীতি, অনিয়ম ও চরম ভোগান্তি। তাই সঠিক সমাধানে সকলকে একসাথে কাজ করতে হবে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বিষয়ে আনা অভিযোগে আইনি প্রক্রিয়ায় যথাযথ ব্যাবস্থা নেয়া হবে। তাছাড়া স্বাস্থ্য বিভাগের উর্ধতন কর্মকর্তদের অবগত করার পরামর্শ দেন তিনি।
Discussion about this post